Sustainable Microenterprise and Resilient Transformation (SMART) প্রকল্পের আওতাধীন উপ-প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
"Adopting Technologies and Practices for Resilient Green Growth in Fisheries Sub-Sector শীর্ষক উপ-প্রকল্পের অবহিতকরন কর্মশালা আজ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে (কুমিল্লা) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসিসটেন্স (সিসিডিএ) এর আয়োজনে এই কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক ও মৎস্য উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন সিসিডিএ-এর স্বপ্নদ্রষ্টা ও নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস সামাদ।
তিনি কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, "SMART প্রকল্প মৎস্যখাতে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।"
প্রধান অতিথি জনাব বিশ্বজিৎ বৈরাগী, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগ, বলেন, "এই প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা প্রযুক্তি ও টেকসই উৎপাদনে দক্ষতা অর্জন করবেন।" সেই সাথে তিনি মৎস্য অধিদপ্তরের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা উল্লেখ্য উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
কর্মশালায় SMART প্রকল্পের প্রেক্ষাপট, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম বিবরনী উপস্থাপন করেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জনাব মাসুদ আলম। তিনি বলেন, “এই প্রকল্প ক্ষুদ্র উদ্যোগে Resource Efficient Cleaner Production (RECP) চর্চার মাধ্যমে টেকসই এবং সবুজ প্রবৃদ্ধি হবে। পাশাপাশি তিনি উপ-প্রকল্পের সকল কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।”
প্রকল্প বাস্তবায়নে উপস্থিত সকলের উন্মুক্ত আলোচনা, মন্তব্য, পরামর্শ ও অভিমত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন:
জনাব মোঃ বেলাল হোসেন আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, কুমিল্লা।
জনাব মোঃ জাকির হোসেন আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
জনাব মোঃ ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, হবিগঞ্জ।
জনাব খন্দকার মাহমুদ পাশা, সহকারী পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা।
জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত জনাব অধ্যাপক এমএ মতিন (মতিন সৈকত) এআইপি, সমাজ, কৃষি ও পরিবেশ সংগঠক।
বক্তারা জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি, সবুজ প্রবৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য মৎস্যখাতে আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
কর্মশালার শেষে আলোচ্য বিষয়ে একটি সুসংগঠিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। SMART প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্যখাতের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে সবাই আশা প্রকাশ করেন।